মডেল মসজিদ তৃনমূল পর্যায়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে -ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা
ধর্ম বিষয়ক ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, মডেল মসজিদ তৃনমূল পর্যায়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ধর্মীয় আবহে মানুষের মাঝে ইবাদতের প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। সচ্চরিত্রবান মানুষ তৈরি হবে।
উপদেষ্টা আজ নাটোরে জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, মসজিদের সংখ্যা যত বৃদ্ধি পাবে মুসল্লীর সংখ্যাও তত বাড়বে। মুসল্লীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে অপরাধ প্রবনতা কমে আসবে। এর মধ্য দিয়ে একটি পরিশীলিত ও উন্নত সমাজ গড়ে উঠবে।
মডেল মসজিদ পরিচালনায় জনসাধারণকে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এ মসজিদ আপনাদের। সরকার কেবল এটি তৈরি করে দিয়েছে। এ মসজিদ সচল রাখার দায়িত্ব আপনাদেরকেই নিতে হবে। মসজিদকে নামাজের উপযোগী রাখার দায়িত্ব আপনাদের।
তিনি আরো বলেন, বিদ্যুৎ বিল নিয়ে সমস্যা আছে। এ বিষয়ে আমরা অবগত। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সাথে বসে আমরা এই সংকট নিরসনের চেষ্টা করবো। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে সরকার এ মসজিদ পরিচালনা করতে চায়। এ মসজিদ পরিচালনার দায়িত্বে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে চায়।
অনুষ্ঠানে মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ শহিদুল আলম ও পুলিশ সুপার এম এ ওয়াহাব বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব শেখ মুর্শিদুল ইসলাম, উপ-প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মাদ ফেরদৌস-উজ-জামান ও নাটোর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
পরে উপদেষ্টা নাটোর সদর ও গুরুদাসপুর উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন।
উল্লেখ্য, প্রত্যেক জেলা এবং উপজেলাতে ৫৬০টি মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় এ মডেল মসজিদগুলো নির্মিত হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে ইসলামী জ্ঞানের চর্চা ও গবেষণা কার্যক্রমের প্রসার ঘটানোর লক্ষ্যে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। এর নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে গণপূর্ত বিভাগ। নাটোরের এ তিনটি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হয়েছে মোট ৪৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।
সূত্রঃ পিআইডি